শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:১৫, ৪ জুন ২০২৪

আপডেট: ০৮:৫৯, ৫ জুন ২০২৪

মোদী বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত: মমতা

মোদী বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত: মমতা

তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমি খুশি মোদী একক বৃহত্তম দল হতে পারেননি। উনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। ওনার অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত। কারণ উনি বলেছিলেন ‘ইস বার ৪০০ পার’। আমি কী বলেছিলাম, ২০০ পার হবে কি না দেখে রাখুন।

লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রথমবার মুখ খুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইস্তফা দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাশে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগে সরব হন তিনি।

এদিন মমতা রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফলের জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমি খুশি মোদী একক বৃহত্তম দল হতে পারেননি। উনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। ওনার অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত। কারণ উনি বলেছিলেন ‘ইস বার ৪০০ পার’। আমি কী বলেছিলাম, ২০০ পার হবে কি না দেখে রাখুন। কারণ কিছুটা হাতে রাখতে হয়। আমি বলেছিলাম পগার পার। এখন তার টিডিপি আর নীতীশের পায়ে ধরতে হচ্ছে। এরা ইন্ডিয়াকে ভাঙতে পারবে না। দুই – তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। ইচ্ছা মতো আইন পাশ আর পার্লামেন্টে হবে না। ইডি - সিবিআই অত্যাচার করলে আমরা ইন্ডিয়া টিম পুরোপুরি চেপে ধরব।’

একই সঙ্গে ভোটে বিজেপি ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদের অবজারভার হিসাবে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এখনও ৪ – ৫টা জায়গায় বিজেপির অবজারভার জেতার পরেও সার্টিফিকেট দিচ্ছে না। কন্টাইতে জেতার পরেও বিজেপি অবজারভার আটকে রেখে দিয়েছে সার্টিফিকেট। বিজেপিকে জয়ী ঘোষণা করার জন্য। এই ভাবে নরেন্দ্র মোদী আরও কয়েকটা সিট জিততে চান।’ তাঁর সংযোজন, ‘তমলুকে আপনারা দেখেছেন, ওটা ইলেকশন নয়। যা করেছিল আমার সময় নন্দীগ্রামে ওখানেও টোটালটা রিগ করেছে। তাতেও যে ভোটে জিতেছে রিকাউন্টিং হলে, ভিভিপ্যাট কাউন্টিং হলে প্রমাণ হয়ে যাবে ওটাতেও হেরেছে। কন্টাই সিটে জেতার পরেও অবজারভার রাজনীতির খেলা খেলছেন। বিজেপির অবজারভার দেখে দেখে বাংলায় পাঠানো হয়েছে। আমি নিজে ভোট দেখতে গিয়ে দেখেছি, রাজ্য পুলিশকে কোনও কাজেই লাগায়নি।’

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ইডি– সিবিআই দিয়ে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘গোটা দেশের কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে পাঠিয়ে দিয়েছে। সব চেয়ে বেশি নির্যাতন বাংলার ওপরে হয়েছে। একদিকে সিবিআই, ইডির অত্যাচার। একদিকে ইনকাম ট্যাক্সের অত্যাচার। এক দিকে বিজেপির হোম মিনিস্ট্রির অত্যাচার। আমাদের প্রশাসনকে অনেক ভাবে নির্যাতন করেছে। আমার বাংলার অনেক এলএএস ও ডিএম-কে বাতিল করে দিয়েছে। যে দিনই প্রধানমন্ত্রী এসেছেন একটা করে ডিএম নয় এসপি বাতিল। আমার চারটি ডিএম ডব্লিউবিসিএস, তারা কি মানুষ নয়? তাদের বাতিল করে দিয়েছে।’
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়