রিনিঝিনি নুপুরেরও এসেছে পরিবর্তন

রূপসজ্জায় যুগে যুগে গহনা ছিল নারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। বসনের ঐশ্বর্য যেমনই হোক না কেন সঙ্গে মানানসই অলঙ্কার যেন নারীদের অহংকারের অংশ। আমাদের দেশে শরীরের নানা অংশে নানা আকৃতির গহনার প্রচলন রয়েছে। প্রত্যেকটি গহনার রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা। কিন্তু সারা গায়ে ভর্তি গহনার মধ্যেও একজোড়া গহনা থাকে যা কিনা বেজে চলে রিনঝিন সুরে। সেটি হলো নূপুর। একজোড়া রিনিঝিনি নূপুর পায়ে রমণী রিনঝিন সুরে মাতিয়ে তুলতে পারে জগৎ সংসার। রমণীর পায়ের নূপুর কখনো সুর তোলে তার মনের আনন্দের এবং আবার বিষাদের সময়ও নূপুর বেজে চলে বেদনার সুরে। আধুনিক মেয়েরা সবারই পদযুগল সাজায় নূপুরে। শুধু তাই নয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাসের মেয়েরাও তাদের পদযুগল সাজায় নূপুর।
সময়ের সাথে সাথে এখন পরিবর্তন এসেছে নুপুরেও। নূপুরের বিকল্প হিসেবে এখন পায়েলও বেশ জনপ্রিয়। নূপুর বলতেই যে রিনিঝিনি শব্দের কথা মনে হয়, সেই শব্দও এখন আর নেই বললেই চলে নুপুর বা পায়েলে। তবে নকশা বা ধরন-ধারণে যত পরিবর্তনই আসুক না কেন, নূপুরের উপকরণ হিসেবে রুপা এখনো ব্যবহৃত হয়। রুপা টেকসই, দামটাও সাধারণের নাগালের মধ্যে। তবে এখন অনেকেই পরছেন তামার নূপুর।
মুক্তার গাঁথুনিতেও নূপুর হতে পারে। এছাড়াও রয়েছে পাট, সুতা, কাপড়, এমনকি লেদারের নূপুর বা পায়েল। পরার জন্য সব সময় হালকা নকশার চিকন চেইনের মতো নূপুর বেছে নেওয়া হয়। পোশাকের সঙ্গে অবশ্য এখনো ভারী নকশার নূপুর পরা হয়। শাড়ির সঙ্গে হালকা কিংবা ভারী সব রকম নূপুর পরারই চল রয়েছে এখন। চুড়িদারের সঙ্গে ভারী নূপুর বেশি মানানসই। সুতা, পাট বা কাপড়ের নূপুরও হতে পারে। পানিতে ভেজার ব্যাপার থাকলে সেক্ষেত্রে সোনার নূপুরই ভালো। জিনস বা পাশ্চাত্য ধারার অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে পরতে পারেন চিকন চেইনের মতো পায়েল। রিনিঝিনি শব্দ হবে, এমন নূপুর আপনি পরবেন কি না, তা একান্তই আপনার ইচ্ছার বিষয়। তবে আপনি যে ধরনের জায়গায় বা পরিবেশ যাচ্ছেন, নূপুরের শব্দ সেখানে মানানসই কি না, তা অবশ্যই খেয়াল রাখুন।