নির্বাচনের দিনক্ষণ জানাবেন ড. ইউনূস, অন্যরা যা বলছেন সেগুলি ব্যক্তিগত মতামত: অপূর্ব জাহাঙ্গীর
পরর্বতী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ অন্তর্বর্তী সরকারের ’প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দেবেন’, বাকি যারা সময়সূচির বিষয়ে জানাচ্ছেন সেগুলো তাদের ব্যক্তিগত মতামত বলে তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার একজন উপ প্রেস সচিব।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে উপ প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা বা তার দপ্তর থেকে নির্বাচনের কোনো তারিখ দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের তারিখ তিনিই ঘোষণা দেবেন এবং তার পক্ষ থেকেই দেওয়া হবে। বাকি যারা বলেছেন, তা তাদের নিজস্ব মতামত হতে পারে।”
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের আলোচনার মধ্যে গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য সফরে থাকা নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি কাঙ্ক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
প্রেস বিফ্রিংয়ে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে করা প্রশ্নে এমন বক্তব্য আসে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনি ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
এ লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। তারা রোববার দুপুরে শপথ নেন।
চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব তহমিদা আহ্মদ ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে, তার আগে নয়।
সব ঠিক থাকলে এ কমিশনের অধীনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা।