রোববার   ০৫ অক্টোবর ২০২৫ , ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

আজ ও কাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৩২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০০:৩৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ ঘিরে বিক্ষোভ, ওয়াকআউট করলেন বহু প্রতিনিধি

জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ ঘিরে বিক্ষোভ, ওয়াকআউট করলেন বহু প্রতিনিধি

ফিলিস্তিনে চলমান আগ্রাসন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তাঁর বক্তব্য শুরু হতেই প্রতিবাদে কক্ষ ত্যাগ করেছেন বহু দেশের প্রতিনিধি। অধিবেশন ঘিরে নিউইয়র্কের রাস্তায়ও বিক্ষোভ হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অধিবেশনের চতুর্থ দিনে নেতানিয়াহু বক্তব্য রাখতে দাঁড়ালে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধি ছাড়াও আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ ওয়াকআউট করে। একপর্যায়ে সভাকক্ষের সামনের সারির অনেক আসন খালি হয়ে যায়। প্রতিনিধিদের এই পদক্ষেপে অন্যরা হাততালি দেন।

ভাষণে নেতানিয়াহু গাজা পরিস্থিতি, ইরান ও আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে তিনি ‘জাতিগত নিধন নয়’ বলে দাবি করেন এবং এর দায় হামাসের ওপর চাপান। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে তিনি যুক্তি দেন, এটি ভবিষ্যতে ইসরায়েল ও ইহুদিদের জন্য হুমকি তৈরি করবে।

অন্যদিকে, অধিবেশন কক্ষের বাইরে ইসরায়েলপন্থী ও ফিলিস্তিনপন্থী উভয় পক্ষের বিক্ষোভ হয়। ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন’, ‘জিম্মিদের মুক্ত করুন’ স্লোগানে নিউইয়র্কের রাস্তায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ফিলিস্তিন সংকট এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে বড় গুরুত্ব পেয়েছে। ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দশটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। চিলিসহ একাধিক দেশের নেতা জাতিগত নিধনের অভিযোগে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতে নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুধু শুক্রবারই অন্তত ৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে গাজা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।

একই সময়ে আলোচনায় এসেছে যুদ্ধ–পরবর্তী গাজা প্রশাসন গঠনের সম্ভাবনা। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, সেখানে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ধারণা নিয়ে আলোচনা চলছে। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে ওই প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব উঠেছে, যাতে জাতিসংঘ সমর্থন দেবে এবং আরব দেশগুলো সহযোগিতা করবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়