রোববার   ০৫ অক্টোবর ২০২৫ , ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দায়িত্ব নিতে পারেন টনি ব্লেয়ার?

আজ ও কাল ডেস্ক

গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দায়িত্ব নিতে পারেন টনি ব্লেয়ার?

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে গাজায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় যুক্ত হয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি সম্প্রতি এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছেন।

প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধ–পরবর্তী সময়ে গাজার দায়িত্ব নেবে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন। এ প্রশাসনকে জাতিসংঘ সমর্থন দেবে এবং আরব দেশগুলো সহযোগিতা করবে। পরবর্তীতে দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত এ ব্যবস্থাই কার্যকর থাকবে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবকে সমর্থন করছে।

তবে ব্লেয়ারের কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি এমন কোনো পরিকল্পনায় যুক্ত হবেন না যা গাজার বাসিন্দাদের উচ্ছেদ বা জমি হারানোর ঝুঁকি তৈরি করে।

গত আগস্টে ব্লেয়ার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে যুদ্ধ–পরবর্তী সময়ে গাজার শাসনব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বৈঠকটিকে ফলপ্রসূ বলে উল্লেখ করলেও সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়নি।

টনি ব্লেয়ার ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার পর কয়েক বছর মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক দূত হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি। তবে এর আগেও তাঁর নাম আলোচনায় আসে ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের কারণে, যখন গোয়েন্দা তথ্যের অসঙ্গতি সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যের সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা নিয়ে ব্লেয়ারের সম্পৃক্ততার খবর সামনে আসলো এমন সময়ে, যখন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করতে প্রস্তুত। তাঁর মতে, ভবিষ্যতে গাজার প্রশাসনে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং সংগঠনটিকে নিরস্ত্র হতে হবে।

একই সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে এবং একে হামাসকে পুরস্কৃত করার শামিল বলে অভিহিত করেছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়