শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ , ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রকাশিত: ১৮:২০, ১০ জুন ২০২৪

আপডেট: ২০:১৮, ১০ জুন ২০২৪

বাজেট প্রণয়নে অলিগার্ক বা লুটেরা গোষ্ঠীর কথা শুনেছেন অর্থমন্ত্রী:হোসেন জিল্লুর রহমান

বাজেট প্রণয়নে অলিগার্ক বা লুটেরা গোষ্ঠীর কথা শুনেছেন অর্থমন্ত্রী:হোসেন জিল্লুর রহমান

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, এবারের বাজেট প্রণয়নে অলিগার্ক বা লুটেরা গোষ্ঠীর কথা শুনেছেন অর্থমন্ত্রী। যারা ক্ষমতার প্রশ্রয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তাদের কথা চিন্তা করেই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার এই বিশেষ শ্রেণির কথা চিন্তা করে অর্থনীতিতে সংস্কার ও ব্যাংক খাত নিয়ে তেমন আলোচনা করা হয়নি।

আজ সোমবার (১০ জুন) সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) যৌথভাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪–২৫’ শীর্ষক এ আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্টজনেরা।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব গতবছর পর্যন্ত অর্থনৈতিক সঙ্কট স্বীকারই করেনি। ধাক্কা খাওয়ার পর এখন সমস্যার কথা বলছে। বেশিরভাগ দেশ যখন সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে আমরা নয়–ছয় সীমা আরোপ করেছি। দুর্নীতি এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। সার্বিক নৈতিকতার ব্যাপক অধপতন হয়েছে। নৈতিকতা ফিরিয়ে আনতে না পারলে সংকট আরো গভীর হবে। পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রশাসনিক সংস্কার, ব্যাংকিং কমিশন গঠন ও অর্থনীতিবিদদের নিয়ে প্রবৃদ্ধির অর্জনের কৌশল নির্ধারণে পুনঃমূল্যায়ন করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, দরিদ্রদের পাশাপাশি এখন নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তরাও মূল্যস্ফীতি নিয়ে সংকটে। বাজেটে বলা হয়েছে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তবে এজন্য যে কর্মকৌশল লাগে সেটা কোথায়। কর্মসংস্থানের সংকটে থাকা যুবকদের জন্য বাজেটে কী উদ্যোগ রয়েছে? উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে সাধারণ মানুষের জন্য করমুক্ত আয় সীমা বাড়ানো হয়নি। আবার মোবাইলে কথা বলার ওপর, মোটরসাইকেলে নতুন করে কর বাড়ানো হয়েছে।

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ স্তরের আয়কর দিতে হবে ৩০ শতাংশ। অথচ কালো টাকার মালিকরা ১৫ শতাংশ কর দিয়ে সাদা করতে পারবেন। এটা সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করা। ভালো উদ্যোক্তারা সব সময় চান নিয়মের ব্যত্যয় যেন না ঘটে এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ। এক্ষেত্রে কর প্রশাসনে সংস্কার আনতে হবে। এবারে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তবে ব্যক্তি খাতের উদ্যোক্তারা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। বাজেটে কিছু কাগুজে ভালো কথা আছে। আবার উদ্যোগের কমতি নেই। তবে সেটা গাছাড়া এবং অসম্পূর্ণ। কিছু শুল্ক কমানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, সাবেক অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ও যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম এমপি। স্বাগত বক্তব্য দেন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ এমপি। সমাপনী বক্তব্য দেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়