বুধবার   ১৫ অক্টোবর ২০২৫ , ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

রোববার থেকে মেট্রোরেলের সময় বাড়ছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি বাড়বে ট্রিপ

রোববার থেকে মেট্রোরেলের সময় বাড়ছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি বাড়বে ট্রিপ

ঢাকার মেট্রোরেল এখন থেকে আরও বেশি সময় চলবে। আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) থেকে প্রতিদিনের চলাচলের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি আগামী মাসের মাঝামাঝি (নভেম্বরের মধ্যভাগে) মেট্রোরেলের ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে, আর শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টায়। নতুন সূচি অনুযায়ী প্রথম ট্রেন ছাড়বে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে এবং শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়।

অন্যদিকে মতিঝিল থেকে এখন প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল সাড়ে ৭টায় ও শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। নতুন সূচিতে প্রথম ট্রেন ছাড়বে সকাল ৭টায় এবং শেষ ট্রেন রাত ১০টা ১০ মিনিটে।

এ পরিবর্তনের ফলে মতিঝিল থেকে ছেড়ে যাওয়া শেষ ট্রেন রাত পৌনে ১১টার দিকে উত্তরা পৌঁছাবে। শুক্রবারেও সময়ের পরিবর্তন আসছে—এদিন মেট্রোরেল বেলা ৩টার বদলে আড়াইটায় চলাচল শুরু করবে এবং রাতে আধা ঘণ্টা বেশি চলবে।

বর্তমানে মেট্রোরেল দিনে গড়ে সাড়ে চার লাখ যাত্রী বহন করে। বাড়তি সময় ও ট্রিপ শুরু হলে যাত্রীসংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে ডিএমটিসিএল।

সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, “যাত্রীদের সুবিধার জন্য ধীরে ধীরে সেবা বাড়ানো হচ্ছে। বাড়তি সময়ের চলাচল রোববার থেকেই শুরু হবে। ট্রিপ বাড়ানোর জন্য আরও কিছুদিন পরীক্ষা চালানো হবে, নভেম্বরের মাঝামাঝিতে সেটি কার্যকর করা যাবে বলে আশা করছি।”

বর্তমানে মেট্রোরেলে দিনে ২৩৮ বার ট্রেন চলাচল করে। এখন ব্যস্ত সময়ে (পিক আওয়ার) ট্রেন আসে প্রতি ৬ মিনিটে, কম ব্যস্ত সময়ে ৮ মিনিটে, আর একেবারে কম ব্যস্ত সময়ে ১০ মিনিটে। আগামী মাসে এই ব্যবধান কমে যথাক্রমে ৪, ৬ ও ৮ মিনিটে নামিয়ে আনা হবে।

মেট্রোরেল চালানোর জন্য এখন ২৪ সেট ট্রেন রয়েছে, যার মধ্যে ১২ সেট সার্বক্ষণিকভাবে চলাচল করছে। নতুন সূচিতে ১৯ সেট ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথম মেট্রোরেল চালু হয় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। বর্তমানে এটি মতিঝিল পর্যন্ত চলছে, আর সম্প্রসারণের কাজ চলছে কমলাপুর পর্যন্ত।

প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা, যা এখন দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা জাইকা দিয়েছে প্রায় ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা।

নিয়মিত যাত্রী ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তা আরশাদুল হক বলেন, “ঢাকায় মেট্রোরেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সময় ও ট্রিপ বাড়ালে যাত্রীদের জন্য বড় সুবিধা হবে।”

সর্বশেষ

জনপ্রিয়